সাত বছর পর সন্তোষ ট্রফিতে বাংলা, ভারতের সেরা
গাচিবউলি স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে ভেসে উঠল সোনার অক্ষরে লেখা আরও এক ইতিহাস। বর্ষবরণের রাতে কেরালাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৩৩তম সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠল বাংলার মাথায়। ম্যাচের নায়ক পূর্ব বর্ধমানের প্রান্তিক কৃষকের ছেলে রবি হাঁসদা। তাঁর সংযুক্তি সময়ের দুরন্ত গোলেই বাংলার অপেক্ষার অবসান।
টানটান উত্তেজনাপূর্ণ প্রথমার্ধ
খেলার শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জমে তোলে ম্যাচের মঞ্চ। মাঝমাঠে বল দখলের জন্য দুই দলের খেলোয়াড়দের লড়াই চোখে পড়ার মতো ছিল। খেলার ২২ মিনিটে আদিত্য থাপার নিখুঁত থ্রু পাস রবির পায়ে পৌঁছালেও, বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ে চাপ
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি আরও বাড়ে। ৬০ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন রবি হাঁসদা। তবে দুই দলের সমানতালে লড়াই ম্যাচটিকে জমিয়ে তোলে। শেষ পনেরো মিনিটে কেরালা এবং বাংলার ফুটবলারদের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে টানটান উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়।
সংযুক্তি সময়ে রবির ম্যাজিক
ম্যাচের নাটকীয় সমাপ্তি হয় সংযুক্তি সময়ে। টপ বক্সের বাইরে থেকে ছোট একটি ফ্লিক হেড রবির পায়ে এসে পড়তেই ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। গাচিবউলি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে তখন শুধুই "বাংলা, বাংলা" ধ্বনি।
ইতিহাস গড়লেন রবি হাঁসদা
এই জয়ের সঙ্গে শুধু বাংলাকে চ্যাম্পিয়নের মুকুটই নয়, রবি হাঁসদা নিজের নামও সোনার অক্ষরে লিখিয়ে নিলেন। মহম্মদ হাবিবের ঐতিহাসিক রেকর্ড ভেঙে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার হলেন রবি।
৩৩ বারের চ্যাম্পিয়ন বাংলা
সাত বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও সন্তোষ ট্রফির শিরোপা বাংলার ঘরে। বাংলার কোচ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, সকলের মুখে খুশির ঝলকানি। একের পর এক বাধা পেরিয়ে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার এই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন শুধু বাংলা ফুটবলের জন্য নয়, গোটা ভারতীয় ফুটবলের জন্যই এক নতুন অনুপ্রেরণা।
বাংলা ফুটবল জয়গানের এই জয় বাংলা ফুটবলের নতুন অধ্যায়ের সূচনা। স্যালুট রবি হাঁসদা এবং গোটা বাংলার দলকে!
Powered by Froala Editor