স্বপ্নের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েও ছিটকে যেতে হল রেফারির জঘন্য পরিচালনার জন্য। বিশ্বকাপ ফুটবলের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়া হলোনা কাতারের কাছে হেরে গিয়ে। ভারত প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১ - ২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে ছন্দ পতন হল।
খেলার প্রথমার্ধে ছানতের গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের শুরু থেকে ভারত ভালো খেললেও খেলার সত্তর মিনিটের মাথায় কাতারের ইউসুফ আয়মানের গোলটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই গোলটি ছিল একেবারে অবৈধ। কাতারের মাঝ মাঠের এক খেলোয়াড় বলটি মাইনাস করলে ওই বলটি মাঠের বাইরে চলে যায়। ওই বলটি মাঠের বাইরে থেকে টেনে নিয়ে ইউসুফ বলটি ভারতের জালে জড়িয়ে দেন। কাতারের ফুটবলাররাও ভাবতে পারেননি রেফারি তাদের পক্ষেই রায় দেবেন। অবাক হতে হয় কোরিয়ান রেফারি ইউ কন সান গোলের বাঁশি বাজিয়ে দেন। ওই গোলটি নিয়ে মাঠের মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়। ভারতীয় ফুটবলাররা মাঠের মধ্যেই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররা মাঠে প্রবেশ করে জোরালো প্রতিবাদ করতে থাকেন। দেখা যায় কোচ ইগর স্টিমাক রেফারির সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলছেন। কোনও প্রতিবাদেই রেফারি কর্ণপাত করেননি। রেফারি সিদ্ধান্ত বদল না করে খেলা চালিয়ে যান।শেষ পর্যন্ত ভারতের এই হার ফুটবল মহলে বিতর্কের পাহাড় আরও দীর্ঘ হতে থাকে। এই ঘটনায় ভারতীয় ফুটবলাররা দারুন ভাবে ক্ষুব্ধ। ভারতীয় অধিনায়ক গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং বলেছেন , এই ভাবে ডাকাতি করার কোনো প্রয়োজন ছিলনা, যেখানে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলে, সেখানে রেফারি কি ভাবে পর পেয়ে গেলেন। ভারতীয় দল অবিচারের শিকার হল। তাই স্বপ্নের কাছাকাছি এসেও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলামনা। কোচ ইগর ষ্টিমাক এই সিদ্ধান্তের পিছনে গভীর চক্রান্ত দেখছেন।নিঃসন্দেহে বলা যায় কাতারের বিরুদ্ধে ভারত দারুন খেলেছে। বিতর্কিত গোলের পর স্বাভাবিক ভাবেই ভারতীয় ফুটবলাররা মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছিল। তাই খেলার শেষ মুহূর্তে কাতারের জয়সূচক গোলটি আসে।
সর্ব ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, তারা ফিফার কাছে বিতর্কিত গোলের ফুটেজ পাঠাবেন। রেফারির সিদ্ধান্ত কে বদল করার অনুরোধ করবেন। রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ভারতের পরের রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব হলনা। শুধু তাই নয়,এর শেষ দেখে ছাড়বেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন জোরালো প্রতিবাদপত্র জমা দিতে । কাতারের বিতর্কিত গোল নিয়ে সংবাদ মাধ্যমেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
লেখা: পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী
Powered by Froala Editor